ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক,ভাষা সৈনিক ও দেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড: সুফিয়া আহমেদ বার্ধক্যজনিত কারণে গতকাল রাতে ৮৭ বছর বয়সে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম উপাচার্য ও তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের আইনমন্ত্রী বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম এর কন্যা, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি’র সাবেক সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মরহুম ব্যারিস্টার সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ’র স্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদের মা।
১৯৩২ সালের ২০ নভেম্বর তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় মা লুৎফুন্নেসার ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেন সুফিয়া আহমেদ।
তিনি ১৯৪৮ সালে প্রাইভেটে মেট্রিকুলেশন পাস করে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে তিনি লন্ডন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৪৩-৪৪ সালে পিতা মুহম্মদ ইব্রাহীমের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পাঠদান করা দেখে শিক্ষকতার প্রতি প্রলুব্ধ সুফিয়া আহমেদ ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৮৩ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
তিনি ইস্তানবুলের বসফরাস বিশ্ববিদ্যালয় এবং উইজকনসিনের মিলোউকির আলভার্নো কলেজের আমন্ত্রিত অধ্যাপক ছিলেন।
ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্য।
এছাড়া বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন পরম যত্নে নিষ্ঠায় ও একাগ্রতায়।
সুফিয়া আহমেদ লিলি ১৯৫৫ সালের জুনে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
দেশবরেণ্য এই শিক্ষাবিদ মৃত্যুকালে পুত্র বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও কন্যা ডা: রাইনা আহমেদ আর জামাতা ব্যারিষ্টার আনাতুল ফাতেহ এবং তিন নাতিনাতনি সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
দয়াময় অধ্যাপক ডঃ সুফিয়া আহমেদ লিলি আপাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন।
সূত্র: লেখাটি আহমেদ সাইমুমের ওয়াল থেকে নেয়া