বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট বলতে কী বোঝায় তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কভিড-১৯। গত বছরের শেষ দিকে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এ ভাইরাস। এরপর এটি পৌঁছে গেছে সবকটি মহাদেশে। এরফলে অন্য সবার পাশাপাশি বিধ্বস্ত হচ্ছে শিশুদের জীবনও। এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে সেভ দ্যা চিল্ড্রেন ১০০ বছরের মধ্যে সবথেকে বড় বৈশ্বিক জরুরি প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ গত মাসের প্রথম দিকে করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত করে। এরপর প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে শুরু করে। বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে ব্যহত হচ্ছে শিশু অধিকার ও তাদের ওপর আসছে জীবন পরিবর্তনকারী হুমকি। তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবন ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশি স্বাস্থ্যখাতের ওপর ভয়াবহ চাপ পরার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে এটি সত্যি হলে শিশুরাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অর্থাৎ, শিশুরা তখন সচরাচর যেসব রোগে আক্রান্ত হয় যেমন ম্যালেরিয়া কিংবা নিউমোনিয়া, এর কোনো চিকিৎসা পাবে না। একইসঙ্গে আইসোলেশন, অবহেলা ও স্বজনদের মৃত্যুতে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে।
তবে বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে দেশজুড়ে করোনা সংকট চলাকালীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত। কিন্তু বাংলাদেশে ইতিমধ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে করোনার বিস্তার শুরু হয়েছে। ফলে শিশুদেরকে জানতে হবে কিভাবে এর সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়।
সেভ দ্যা চিলড্রেন জানিয়েছে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, তথ্যের ব্যবহার ও সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে। এগুলো সবই শিশুদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশে অনেক সময়ই সংকটকালীন সময়ে জরুরি সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। শিশুরাও এই সেবা না পাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে জি-২০ভুক্ত দেশগুলোকেও করোনা মোকাবেলায় বড় ভুমিকা রাখার আহবান জানায় সেভ দ্যা চিলড্রেন। সংস্থাটি বলে, যেসব অঞ্চলে ত্রান ও অর্থায়ন প্রয়োজন সেসব অঞ্চলে সাহায্য করতে হবে। বিশ্ব একটি বড় সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাইলেই কভিড-১৯কে হারিয়ে দিতে পারি। কিন্তু এ জন্য আমাদের মধ্যে সহমর্মিতা থাকতে হবে এবং একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। কারণ, কেউই ততক্ষণ বিপদমুক্ত নয় যতক্ষন না সবাই বিপদমুক্ত।