কামরান হাবিব, রংপুর: পাটগ্রামে সামাজিক দুরত্ব নাকি করোনা বিতরণ উৎস চলছে এমন প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে ।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যখন গোটা বিশ্ববাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে ঠিক সেই মুহুর্তেই প্রশাসনের শত চেষ্টা থাকার পরেও সামাজিক দুরত্ব কর্মসূচী আলোর মুখ দেখছেনা। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ করে এাণ বিতরণ, টিসিবির পণ্য বিক্র, ব্যাংক,ভ্রাম্যমাণ তামাক বিক্রয়, মাছ বাজার সহ বিভিন্ন দৃশ্যমান ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে সরকার ঘোষিত সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণ কর্মসূচী মানছেনা অধিকাংশ মানুষ।
ইতিমধ্যে পাটগ্রামের বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় এলাকার সচেতন যুবসমাজ নিজ উদ্যোগে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের একাধিক সড়ক বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এতে যদিও মানুষ এবং স্থানীয় যানবাহন চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তবুও কিছু মানুষ এলাকা ভিত্তিক এমন লকডাউন কর্মসুচি স্বাগত জানিয়েছে। এদিকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পাটগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মহোন্তের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমরা জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বিপিএম পিপিএম মহোদয়ের যোগ্য দিকনির্দেশনায় সর্বদাই প্রস্তুত থেকে সামাজিক দুরত্ব ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। তবে সাধারন মানুষ সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছেনা।এখন আমাদের আরো বেশি কঠোর অবস্থানে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। তাই আগামীকাল থেকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশসহ কঠোর অবস্থানে থাকবো আমরা । এজন্য সকলের সহযোগিতা জরুরি। তবে এলাকার সচেতনমহল মনে করছেন এমন পরিস্থিতি আমাদের সকলের জন্য একটি ভয়াবহ বাস্তবতা তাই এ বাস্তবতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হয়ে ঐকবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে করোনার প্রতিরোধের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব কর্মসুচিকে সফল করতে গণমানুষের খাদ্য নিরাপত্তা রাষ্ট্রপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে ।এছাড়াও মানুষের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই সরকারের ।
অপরদিকে পাটগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মশিউর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ যদি তার নিজ অবস্থান থেকে সচেতন না হওয়ার চেষ্টা করে তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। মানব জীবনের বাঁচামরার সন্ধিক্ষণে বর্তমান সময়ে করোনা সবথেকে আলোচিত অধ্যায় তাই এই অধ্যায়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার বিকল্প কিছু নেই। তবে জনপ্রতিনিধি, সেনাবাহিনী, পুলিশ,বিজিবি, গ্রাম পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশিং,সাংবাদিক, সেচ্ছাসেবক সহ সকল স্তরের দায়ীত্বশীল মাধ্যম গুলো তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করছে। আমারাও দায়িত্বের সাথে মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধ সচেতনতায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আগামীকাল থেকে আমরা আরো কঠোর অবস্থানে থেকে পাটগ্রামবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে বহুমুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ । আমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।