জামালপুরে করোনা রোগী শনাক্ত

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি

জামালপুর: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ঢাকাফেরত একজন করোনা রোগী শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ঘটনায় মেলান্দহের ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন লকডাউন করেছে প্রশাসন। এদিকে করোনা সন্দেহে বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১০টি পরিবারকে লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তামিম আল ইয়ামিন জানান, আক্রান্ত ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক ঢাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় কর্মরত। সম্প্রতি ছুটিতে ঢাকা থেকে তার বাড়িতে আসেন। এ ঘটনায় আক্রান্তের বাড়িসহ পুরো ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাশ্ববর্তী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এক আয়ার করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় এবং ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বকশীগঞ্জের দুই রোগী চিকিৎসা নেয়ায় এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই দুই রোগী সংশ্লিষ্ট ১০টি পরিবার এবং শ্রীবরদী উপজেলার সাথে বকশীগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

গত রবিবার শেরপুরে দুই নারী করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন আয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পার্শ্ববর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মাঝপাড়া গ্রামের দুই বছর বয়সী মেয়ে শিশু এবং একই গ্রামের দেড় বছর বয়সী এক ছেলে শিশু অসুস্থ হয়ে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যায়। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য কমলপ্লেক্সটি লকডাউন করে সকল রোগীর সাথে ওই দুই শিশু রোগীকেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন আয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ওই হাসপাতালের রোগীরাও করোনা সংক্রমিত হতে পারে ভেবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় সোমবার বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.স.ম. জামশেদ খোন্দকার পৌর এলাকার মাঝপাড়া গ্রামে গিয়ে ওই দুই শিশুর সংস্পর্ষে থাকা ১০টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন এবং বাধ্যতামূলক ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার সাথে বকশীগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে পুলিশ মোতায়েন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *