ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের অন্তত ২০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ২ লাখ ২০ হাজার।
এ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে। এ ভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এছাড়াও এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ২৬ জন।
এ ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। এই লকডাউনে অনেক কর্মজীবী বেকার হয়ে পড়েছেন। অঘোষিত লকডাউনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া প্রায় সব বন্ধ।
অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মার্চের বেতন পাননি, পাবেন কি-না সে নিশ্চয়তাও নেই। সমাজের এই নিম্নমধ্যবিত্ত চাকরিজীবী লোকেরা অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন। তবে সামাজিক আত্মসম্মানের ভয়ে তারা সরকার বা স্থানীয়ভাবে কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছেন না।
তাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ মধ্যবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। বুধবার রাতে ডিসি গুলশান-ডিএমপির ফেসবুক পেজ থেকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়। পোস্টটি দেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘অসহায়, দুস্থ , নিম্ন আয়ের চাকুরিজীবী, নিম্নমধ্যবিত্ত যারা কারেও নিকট হাত পাততে পারেন না তাদের সাহায্যের জন্য মোবাইল নম্বসহ ইনবক্স করুন। পরিচয় গোপন রেখে সাধ্যমত সাহায্য করা হবে।’
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে গুলশানের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, আমরা সবাই নিম্নবিত্ত, গরিব দুস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা করে সাহায্য সহযোগিতা করছি। তবে সমাজের অনেকেই নীরবভাবে জীবনযুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তারা কারও কাছে হাত পাততে পারছেন না। তাদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, এই পোস্টটি দেয়ার পরে আমরা অনেক সাড়া পেয়েছি। অনেকে আমাদের ইনবক্সে তথ্য দিয়ে সাহায্যের আবেদন করছেন। আমরা তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের সাহায্য করছি। ইতোমধ্যে অনেককে সাহায্য করা হয়েছে। তবে আমরা তাদের নাম-পরিচয় ও ছবি গোপন রাখবো।