ডেস্ক: অ্যাপার্টমেন্টের দরজা খুলে পুলিশ দেখতে পেল ২৭ বছরের নারী ডাক্তারের লাশ পড়ে আছেন মেঝেতে। একটু দূরেই আহত অবস্থায় পড়ে আছেন নিহতের প্রেমিক। এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির সেসিলি শহরে, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে।
২৮ বছরের নার্স এন্টনি ডি পেস প্রেমিকাকে হত্যা করে নিজেই পুলিশকে ফোনে করেন। প্রেমিকাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি। নিহত প্রেমিকা লরিনা কোয়ারটানা পেশায় ছিলেন ডাক্তার। তারা দুজনে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন, সিসিলি শরের মেসিনা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রেমিক ডি পেস আদালতে জানান, তার প্রেমিকার জন্য তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাই তিনি তার প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।
তারা দুজন একসাথে এই মহামারির মোকাবেলায় রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
তবে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তাদের দুজনের কারো মাঝেই কোডিড-১৯ আক্রান্তের কোনো লক্ষণ নেই। এ তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অবশ্য এখনো পরীক্ষা শেষ হয়নি।
গত মাসে লোরেনা তার চিকিৎসার ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। তখন তার প্রেমিক তাকে অভিনন্দিত করেছিলেন। অবশ্য আশপাশের লোকজন প্রেমিক পছন্দ করত না। তারা তাকে উত্যক্ত করত।
তবে কয়েক দিন আগে লোরেনা তার প্রেমিককে জানিয়েছিলেন, ১২ হাজারের বেশি চিকিৎসক মারা গেছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে তিনি দেশের এই সঙ্কটকালে সেবাকাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে অভিমত প্রকাশ করছিলেন।
এই ঘটনায় লোরেনার বাবা-মা মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। তারা বলেন, যত দ্রুত সম্ভব লাশের সৎকার শেষ করতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারিতে বর্তমানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালি।
সূত্র : মিরর