সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে একজন স্কুলছাত্রী। গতকাল বুধবার (১লা এপ্রিল) রাতে ঘাটাইল উপজেলার দিগর ইউনিয়নের ধোপাজানি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছিল।
গতকাল বুধবার রাতে ঘাটাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই বাল্যবিবাহ সম্পর্কে অবগত জয়েছিলেন। তিনি জানতে পারেন যে, দিগড় ইউনিয়নের ধোপাজানি গ্রমের মজনু মিয়া তার নাবালিকা মেয়ে মেঘলাকে বিয়ে দিচ্ছেন।আর এই মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার টিলাবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন মিয়ার (১৮) সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল মেয়েটির।
উল্লেখ্য যে, করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম করে সামাজিক অনুষ্ঠান না করার বিধিনিষেধ থাকলেও তা না মেনেই উক্ত বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
তারপর বুধবার রাতেই বরপক্ষ লোকজন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এই বিষয়টি স্থানীয় সংবাদিকদের কাছেও অবহিত করেন এলাকাবাসী। আর এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার রাতেই দিগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ মামুনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আর এই বিষয়টি টের পেয়ে বরপক্ষের লোকজন চলে যায়।
আরো জানা যায়, এই সময় মেয়ের বাবা-মাকেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এরপরে মেয়েটি সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবে না এই মর্মে মেয়ের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছ থেকে মুচেলেকা নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার।