প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া, আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ মানুষ। আর চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮৪ হাজার ১১৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জনস হপকিন্সের হিসাব অনুযায়ী- করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন আমেরিকায়।
সেখানে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ জন মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৪৭৩ জন। এছাড়া, আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ১৩৮ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮৫ জন। আর এটা একদিনে আমেরিকায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশ ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৫৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৫৭৪ জন।
ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৯ হাজার ১৩১ জন। এ ছাড়া, জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৫৫৮ জন এবং মারা গেছেন ৮৯১ জন, ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৯৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৩২ জন।এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউওইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রোয়াসুস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ হয়ে যাবে। করোনাভাইরাস মোকাবিলার নীতিমালায় পরিবর্তন আনার আভাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, শুধু আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গুণে কী হবে, চীনের রিপোর্টও যে সত্যি তার কি কোনও প্রমাণ আছে? বেইজিংয়ের সরকারি তথ্যের স্বচ্ছতা নিয়ে এভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগে তিনিই বলেছিলেন, ‘চাইনিজ করোনাভাইরাস’। এই মারণ ভাইরাস বয়ে এনেছে চীনই। এবার ট্রাম্প বললেন, করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের যে সংখ্যা দেখাচ্ছে চীন তার ভেতরে অনেকটাই তফাৎ আছে। আসল সত্য আগেও চেপে গিয়েছিল তারা, এখনও অন্ধকারে রাখছে গোটা বিশ্বকেই।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘নিজেদের দেশে ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম দেখানোর চেষ্টা করছে চীন। সংক্রমণ থেমে যাওয়ার যে দাবি তারা করেছে সেটাও সত্যি নয়। আসল খবর অন্য।’ কী সেই খবর? মার্কিন ইনটেলিজেন্স দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক মহলকে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে বেইজিং। চীনেই প্রথম মহামারী হয় করোনাভাইরাস। সেই উনিশ সালের শেষ থেকে এখনও অবধি হুবেই প্রদেশ-সহ চীনের কয়েকটা প্রদেশে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা অনেক। যে পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে সরকারি রিপোর্টে সেটা একেবারেই সত্যি নয়। ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট জানায়, বেইজিং তাদের সরকারি তথ্যে মৃতের সংখ্যা কম করে দেখিয়েছে। এরপরেই মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের তরফ থেকে সম্ভাব্য সংখ্যা দেখিয়ে রিপোর্ট যায় হোয়াইট হাউসে।