করোনা আতঙ্কের কারণে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালে যাওয়া সাধারণ রোগীরা। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীরা প্রায় প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নিয়ে নানা অভিযোগ করছেন। এই অভিযোগ দেশের কিছু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং প্রাইভেট ডক্টরস চেম্বারের বিরুদ্ধে। রোগীর অভিযোগ করে বলেছেন,চিকিৎসকদের ঠিকমত তাদের চেম্বারে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে বহির্বিভাগে সময়মত চিকিৎসক না পাওয়ার অভিযোগ অহরহ আসছে । এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে খুলনা সরকারি মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায়। রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা মিলেনি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা শারমিন আক্তার। তিনি নিয়মিত বাত ব্যাথার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের চেম্বারে চিকিৎসককে দেখাতেন। সম্প্রতি ওই চিকিৎসক রোগী দেখবেন না বলে জানিয়েছেন। আর এতে বিপাকে পড়েন শারমিন। শুধু শারমিন নন এবং এমন বহু রোগীর অভিযোগ অহরহ আসছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ( বিসএমএমইউ)-এর মেডিসিন বিভাগের একজন অধ্যাপক এ ব্যাপারে বলেন, যে কোন সময় চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকার রোগী রাখেন। প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে তাদের নিজস্ব মেকানিজ্যামে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। গত কয়েদিনে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও এমন চিত্র দেখা গেছে। আতঙ্কেও কারণে রোগী আসাও কমে গেছে। যারা আসছেন তারাও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সাধারণ সেবা বন্ধ করে সেখানে শুধু করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এই হাসপাতালের রোগীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। মুগদা জেনারেল হাসপাতালেও দেখা গেছে আগের চেয়ে রোগী অনেক কম। ওই হাসপাতালেও করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অঅধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, তাদের কাছেও এমন কিছ্ ুঅভিযোগ এসেছে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদেরকে নিজের সুরক্ষা নিয়ে চিকিৎসাসেবা চালু রাখার আহবান জানান তিনি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অনেক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ভালো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের কাছে এমন খবরও আছে যে কিছু চেম্বার বন্ধ রয়েছে। মন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,যার যার কর্মস্থলে থাকবেন এবং রোগীকে সেবা দিবেন।