রাঙামাটি: শহরে কারফিউ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ কারফিউ বলবৎ থাকবে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ কারফিউ জারি করে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিষয়টি জানিয়ে মাইকিং করা হয়। বিকালে শহরে সহিংসতার গুজব ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে উত্তেজনার তৈরি হয়। এর প্রেেিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারফিউ জারি করে জেলা প্রশাষন।
এর আগে রাঙ্গামাটি শহরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রোববার বিকালে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি বাঙ্গালীদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে উভয়ের অন্তত বিশজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যায় শহরের ভেদভেদী এলাকায় ৪টি দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শনিবার মেডিকেল কলেজ উদ্বোধনকে কেন্দ্র সৃষ্ট সংঘর্ষের জের ধরে তা আজ পাহাড়ি-বাঙ্গালী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
শহরের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন বিকেলে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা আহবান করে। সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বনরূপা বাজার এলাকা থেকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় বনরূপায় দুস্কৃতকারীরা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সহ সাধারণ মানুষের উপর গুলি ছোড়ে এবং ইটপাটকেল, গুলতি, মার্বেল ও তীর নিক্ষেপ করে। পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছোড়ে ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এসময় বাজারের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুঠপাট চালায় দুর্বৃত্তরা।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের কলেজ গেইট, আমানতবাগ, বিজয়স্বরণী, তবলছড়ি, কাঠালতলী ও ভেদভেদী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষকারীদের ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে বনরূপা বাজারের ভিতরে উপজাতীয়রা বাঙ্গালী ব্যবসায়ীদের উপর চড়াও হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বনরূপা এলাকার বাঙ্গালীরাও তাদের উপর চড়াও হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের কলেজ গেইট, আমানতবাগ, বিজয়স্বরণী, তবলছড়ি, কাঠালতলী ও ভেদভেদী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার মেডিকেল কলেজ কার্যক্রম উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষের পর রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এর পরও নানা গুজব ছড়িয়ে মানুষের মাঝে তৈরী হয় আতংক।
শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে শহরে টহল দিচ্ছে।