করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার ঘোষিত চলমান সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ছুটি ৯ তারিখ (এপ্রিল) পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং পরের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। মূলত ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পাঁচদিনের সাধারণ ছুটি ছিল। তবে সাথে ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মোট ১০ দিনের ছুটিতে রয়েছে সারা দেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ছুটি দিয়েছিলাম, হয়তো আমাদের আরো কয়েকদিন বাড়াতে হতে পারে। কারণ অনেকে গ্রামে চলে গেছেন, সেখানে কোনো রকম যেন এ রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয় সে সময়টা হিসাব করে আমরা ১০/১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। এটা ১৪ দিন করতে হবে। এটা ৯ তারিখ পর্যন্ত হতে পারে। ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের একটু বাড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাটা জরুরি। আমাদের দেশটা ছোট, কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল। এরপরও আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। সেজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে রয়েছে।
নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ আমরা সব সময় খুব উৎসবের সাথে উদযাপন করে থাকি। এবারে আমরা সব অনুষ্ঠান বাদ দিয়েছি, বিশেষ করে লোক সমাগম হয় এমন সব অনুষ্ঠান।’
‘আমি মনে করি নববর্ষের অনুষ্ঠান বিশাল জনসমাগম করে সারা বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা উচিত। এখন ডিজিটাল যুগ যারা উৎসব করবেন, গান-বাজনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারেন,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে মোট ১৯ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন এবং পাঁচজন মারা গেছেন।
সূত্র : ইউএনবি