কূটনৈতিক রিপোর্টার: বাংলাদেশকে সহায়তা হিসেবে দেয়া চীনের করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ টেস্ট কিট কোনো বাজে কোম্পানী থেকে সরবরাহ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বেইজিং। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের তরফে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে। চীন এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৫০০ কিট (জ্যাক মা’র দেয়া কিট সহ) বাংলাদেশকে দিয়েছে। দূতাবাস এ নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, উন্নত মানের কিট সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকায় পৌঁছানো হয়েছে। স্পেন ও চেক প্রজাতন্ত্র অভিযোগ করেছে, তাদের দেশে চীন থেকে পাঠানো দ্রুত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট ‘ত্রুটিপূর্ণ’। ওই বক্তব্যে এই প্রেক্ষিতে ঢাকায়ও চীন থেকে আসা কিট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চীন দূতাবাস সেই বিতর্কের বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। এ নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয় দূরিকরণে তারা স্প্যানিশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য যাতে, স্পেন জানিয়েছে তারা সরাসারি চীন থেকে কিটগুলো সরবরাহ করেনি, করেছে ভায়া মিডিয়া, তা ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডেইলি মেইল জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে চেক প্রজাতন্ত্র ১ লাখ ৫০ হাজার দ্রুত শনাক্তকরণ কিট আমদানি করে চীন থেকে। সেগুলোর ৮০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ বলে জানায় চেক সংবাদমাধ্যম সাইট এক্সপ্যাটস।
সাইট এক্সপ্যাটস জানায়, চীন থেকে আনা কিট দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা করা গেলেও অন্য কিটের তুলনায় এগুলোর কার্যকারিতা কম, অধিকাংশ সময়ই ত্রুটিপূর্ণ।
৫ লাখ ৪৬ হাজার ডলার মূল্যে চীনের কাছ থেকে এক লাখ কিট কিনেছিল চেক প্রজাতন্ত্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চীনা কম্পানি বায়োইজির কাছ থেকে কেনা দ্রুত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিটও ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে স্পেন। স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভাইরাস শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এগুলো মাত্র ৩০ শতাংশ কার্যকর।
স্পেনের ‘সেন্টার ফর হেলথ’ এর পরিচালক ফার্নান্দো সিমোন বলেন, ‘নয় হাজার টেস্টিং কিট ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশই ত্রুটিপূর্ণ ফল দেখানোয় অবশিষ্ট কিটগুলো আমরা চীনে ফেরত পাঠাচ্ছি।’
চীন থেকে সরবরাহ করা দ্রুত শনাক্তকরণ কিট ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে স্প্যানিশ সোসাইটি অব ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যান্ড ক্লিনিকাল মাইক্রোবায়োলজি। তবে স্পেনের চীনা দূতাবাস তাৎক্ষনিক এ বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। জানিয়েছে, বায়োইজি কোম্পানি থেকে কেনা কিটগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের তৈরি মেডিকেল সরঞ্জামের অন্তর্ভুক্ত না।