ক্যারোলিন মিম্বস নাইসি: গত সপ্তাহে বসন্ত এসেছে। কিন্তু এ বিষয়টি আপনাকে নোটিশ করতে আমরা ভুলে গিয়েছি। অনেকেই যেমনটা আশা করেছেন, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবেন। সম্ভবত এ বছরের এই বসন্তটা সেই স্বাভাবিকতা আনবে না। করোনা ভাইরাসের কারণে যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে, তা সহসাই উঠে যাচ্ছে না। কেউ জানেন না, স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়ে থাকার এই অবস্থা কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্্থা চলতে পারে আরো কয়েক মাস। তার চেয়েও বেশি স্থায়ী হতে পারে।
অন্তত ততদিন এমনটা চলবে যতদিন বড় ধরনের জনসমাবেশ নিরাপদ হয়, স্বাভাবিক হয়। আমাদের স্টাফ রাইটার জো পিনস্কার লিখেছেন, ইত্যবসরে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরতে পারে। এই গ্রীষ্মে, আমেরিকানরা হয়তো রেস্তোরাঁয় যেতে পারবেন। কিন্তু কোনো মিউজিক ফেস্টিভ্যালে নয়, অফিসে নয়। কোনো জনাকীর্ণ সমুদ্র সৈকতে বা বার-এ নয়।
এই বসন্ত হয়তো ন্যূনতম আনন্দ বয়ে আনবে না। উল্টো এই বসন্তকে স্মরণ করা হবে এমন একটি ঋতু হিসেবে যেখানে আমরা সবাই ঘরের মধ্যে বন্দি, আতঙ্কিত এবং বিরক্ত। আমরা আমাদের জীবনকে রক্ষা করতে ছোট্ট পরিসরে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। অথবা এটাকে এমনভাবে স্মরণ করা হতে পারে, যখন আমরা ছোট্ট ছোট্ট ভালবাসা শিখলাম, যেমন হতে পারে বৃষ্টি পড়ার শব্দ। ইসাবেলা গিলিস লিখেছেন, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাকে স্থির রেখেছে আমার জীবনের ছোট্ট ছোট্ট অংশ, যা আমি ভালবাসি।
এই উদ্ভট সময় আর কঠিন ঋতুতে কিছু বিষয় উপকারী হতে পারে। যেমন, মানসিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য বই হতে পারে উত্তম উপাদান। যখন জীবন তার অর্থ হারিয়ে ফেলে বলে মনে হয় তখন বইই হতে পারে স্বস্তির। অন্তর্মুখী মানুষদের জন্য এটা হতে পারে আনন্দময় দিন। এসব শহরে ব্যালকনিগুলো হতে পারে আশা ছড়িয়ে দেয়ার মঞ্চ হিসেবে।
(অনলাইন দ্য আটলান্টা থেকে অনুবাদ)