বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের দেশে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে একদিনে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি মানুষকে। সবমিলিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। এর আগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের দেশ ছিল ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৭৮২ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮০ হাজার ৫৮৯ জন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষস্থানে চলে এলেও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে।
বৃহ¯পতিবার ইতালির কর্মকর্তারা আরো নতুন ৭২৩ জন মারা যাওয়ার কথা জানান। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ২১৫ জন। ইতালির পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মারা গেছেন অন্তত ৪ হাজার ৩৬৫ জন। ৩ হাজার ২৯১ জন হারিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মারা গেছেন অন্তত ১ হাজার ৩০০ ব্যক্তি।
আক্রান্তের সংখ্যায় এরকম অভাবনীয় বৃদ্ধি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানান, দেশটিতে পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে। এজন্য আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি ধরা পড়েছে। নিজের বক্তব্যে চীনের আক্রান্তের হার নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। বলেন, চীনে আক্রান্তের আসল সংখ্যা কত সেটা কেউ জানে না।
অন্যদিকে, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যেই এখন পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুরো দেশজুড়ে ৫ লাখ ৫২ হাজার মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন’স স্কুল অব মেডিসিন-এর ইন্সটিটিউট অব হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিনিরা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চলেন, তাহলে আগামী চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়াতে পারে। এপ্রিলজুড়ে প্রতিদিন মরতে পারেন ২ হাজার ৩০০ রোগী।