ডেস্ক: শুরুটা উহানে। ভয়াল করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ করে দেয়া হয় সবকিছু। উহানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় চীন এবং দুনিয়া থেকে। নাম দেয়া হয় লকডাউন। চীনে আপাত স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু করোনার বিস্তার ঠেকানো যায়নি। ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সারা দুনিয়াতে। এর কোনো ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি। দেশে দেশে সেই একই প্রক্রিয়ায় ঠেকানোর চেষ্টা হচ্ছে করোনাকে।
বাড়ির পাশে ভারতেও চলছে লকডাউন। কার্যত বাংলাদেশও যোগ দিয়েছে এ তালিকায়।
বাংলাদেশে যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়েছে ঘরে থাকার। আজ থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ১০ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ। রেল আর নৌযোগাযোগ আগেই বন্ধ হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে দৃশ্যত লকডাউনই চলছে। সকাল থেকে ঢাকার রাস্তা একেবারেই ফাঁকা। লোকজনের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। দুই/এক জন মানুষ বেশ কিছুক্ষণ পর দেখা যায়। গাড়ি চলাচল নেই । রিকসা চলছে একেবারে স্বল্প সংখ্যায়। দু’ একটি ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা গেছে। দোকানপাট প্রায় সবই বন্ধ। রাস্তায় সক্রিয় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। সেনা সদস্যদের তৎপরতাও দেখা গেছে।
বিভিন্ন জেলা উপজেলায় আমাদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নেয়া তথ্য অনুযায়ী, মানুষকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন। সেনা সদস্যরা বিদেশফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা, জনসমাগম রোধ করা, বাজার মনিটরিংসহ নানা কাজে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য বিপণিবিতান বন্ধ দেখা যায়।