ঢাকা: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলুন। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সমস্যার জন্য নিম্ন আয়ের মানুষকে ৬ মাসের খাদ সরবরাহ করা হবে। ভাইরাসের আক্রমন মোকাবেলায় সমাজে বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি। অতিরিক্ত ভোগ্যপন্য কিনবেন না। এখনই সময় পরস্পরকে সহযোগিতা করা। বাঙালী বীরের জাতি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলা একটি যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব এখন আতঙ্কগ্রস্ত। এই ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপদেশ আমাদের মেনে চলতে হবে। আমাদের যতদূর সম্ভব মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। যাঁরা করোনাভাইরাস-আক্রান্ত দেশ থেকে স্বদেশে ফিরেছেন, সেসব প্রবাসী ভাইবোনদের কাছে অনুরোধ -আপনাদের হোম কোয়ারেন্টাইন বা বাড়িতে সঙ্গ-নিরোধসহ যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলুন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এ ভাষণ দেন। ভাষণের বড় অংশ জুড়েই আছে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত, ব্যবস্থা ও করনীয় নিয়ে দিক নির্দেশনা। তিনি বলেন, মাত্র ১৪দিন আলাদা থাকুন। আপনার পরিবার, পাড়াপ্রতিবেশি, এলাকাবাসী এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য এসব নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন।
কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সহজ হবে। ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিবেন। যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলবেন না। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। যতদূর সম্ভব ঘরে থাকবেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। বাইরে জরুরি কাজ সেরে বাড়িতে থাকুন। মুসলমান ভাইয়েরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন এবং অন্যান্য ধর্মের ভাইবোনদেরও ঘরে বসে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আই.ই.ডি.সি.আর-এর হটলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। এছাড়া সোসাইটি অব ডক্টরস তাদের ৫০০টি নম্বর উন্মুক্ত করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ঐসব নম্বরে যোগাযোগ করুন। সরকার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।