ঢাকা: সবেশেষ তথ্য অনুয়ায়ী করোনায় গত ২৪ ঘন্টাওয় আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট ৪জন মারা গেলেন। আর করোনায় নতুনভাবে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৬জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯জন।
মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
এদিকে অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাকে। মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের সব জেলার সাথে রাজধানী ঢাকার ট্রেন, বিমান ও নৌযান চলাচল বন্ধ হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটিও বেড়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও। কাল থেকে তারা মাঠে কাজ শুরু করবেন।
এ খবর জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।
রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে সব ধরণের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
এরইমধ্যে যেসব ট্রেনগুলো বেইজ স্টেশন থেকে ছেড়ে এসেছে সেগুলো আবার ফিরে যাবে।
সেসময় যাত্রী পরিবহন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে রেলমন্ত্রী বলেন, যদিও আমরা পরিবহনের উদ্দেশ্যে পরিচালনা করছি না, তবে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কেউ ট্রেনে উঠে বসলে সেটা ভিন্ন বিষয়।
তবে পণ্য পরিবহনের জন্য মালবাহী ট্রেনগুলো চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে নৌপথে লঞ্চ, ছোট নৌকাসহ সব ধরণের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নৌ পরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, যাত্রীবাহী নৌযান না চললেও পণ্যবাহী নৌযানগুলো চলাচল করবে।
এর আগে সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে সব ধরণের গণপরিবহন বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’ করা হবে। বাংলাদেশের কোনো সড়কে কোনো রকম যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করবে না। এই লকডাউন কার্যকর থাকবে পরবর্তী ১০ দিন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে লকডাউন উপেক্ষা করেই সোমবার ছুটি ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন স্টেশন ও বাস স্টেশনে মানুষের ভিড়ের ছবিও ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র : বিবিসি