করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সারা দেশে গণপরিবহন ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৬শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত গণপরিবহন এবং আজ বিকেল থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও বার্তায় গণপরিবহণ বন্ধের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
ওবায়দুল কাদের ভিডিও বার্তায় বলেন, সরকার দেশবাসী জনগণ যাত্রীসাধারণ মালিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছে যে, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আজ থেকে আগামী ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে লঞ্চ মালিকরাও একমত হয়েছেন। যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশের সব লোকাল ও মেইল ট্রেন বন্ধের ঘোষণা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে এমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৬শে মার্চ থেকে সব ট্রেন বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে।
রোববার দেশের সুপারমার্কেটগুলোসহ সব দোকান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৫শে মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত দোকানগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার, ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে।
এর আগে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দেয়া হয়। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে পরীক্ষার নতুন রুটিন জানানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।