প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার ৪১৯ জন, আর আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
আর এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৬২৩ জন।
করোনায় এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইতালির। রবিবার সেখানে ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শনিবার মারা গেছে ৭৯৩ জন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। মোট মারা গেছেন ৫৪৭৬ জন।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি স্থল চীনে আর খুব বেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে না। নতুন করে মাত্র ৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চীনের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৯৩ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ২৭০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের বিস্ফোরণ ঘটেছে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে সেখানে ৩৫ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪৫৯ জন।
স্পেনেও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৯ জন। মারা গেছেন ২ হাজার ২০৬ জন।
জার্মানিতেও করোনার বিস্ফোরণ ঘটেছে গত এক সপ্তাহে। দেশটিতে এখন ২৭ হাজার ২৮৯ জন আক্রান্ত। মারা গেছেন ১১৫ জন।
ইরানেও করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে ২৩ হাজার ৪৯ জন আক্রান্ত। আরা মারা গেছেন ১৮১২ জন।
ফ্রান্সের পরিস্থিতিও ভয়াবহ রুপ ধারন করছে এবং বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৮৯ জন। মারা গেছেন ৬৭৪ জন।
ব্রিটেনেও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করোনার বিস্ফোরণ ঘটবে। এবং পরিস্থিতি ইতালির মতো ভয়াবহ হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির খোদ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের এখনে পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৩ জন। আর মারা গেছেন ২৮৯ জন।
এছাড়া সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, নরওয়ে, পর্তুগাল, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, কানাডা, ইসরায়েল, তুরস্ক সহ আরো বেশ কয়েকটি দেশে ১ হাজার থেকে ৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০০ থেকে ২০০ জনের বেশি করে।
সূত্র: ওয়ার্ল্ডোমিটারস