গাইবান্ধা: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলাকে ‘লকডাউন’ (অবরুদ্ধ) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসক বলেছেন, উপজেলা লকডাউন করা হয়নি। যিনি চিঠি ইস্যু করেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজের ওই সিদ্ধান্তের পর জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
উপজেলা প্রশাসনের চিঠিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাদুল্লাপুর উপজেলা লকডাউন হয়েছে জানিয়ে বলা হয়, উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের হবিবুল্লাপুর গ্রামের জনৈক শচিন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে কাজল মন্ডলের বোনের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দুইজন আমেরিকা প্রবাসী আত্মীয় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় চার-পাঁচশ’ লোক দাওয়াত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এতে বলা হয়, পরবর্তীতে ২১ মার্চ গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া লোকজন ভোট প্রদান করেছেন মর্মে জানা যায়। এ অবস্থায় ভাইরাসটি দ্রুত সংক্রামণ ঘটতে পারে মর্মে আশু সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অত্র উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে সাদুল্লাপুর উপজেলাকে ‘লকডাউন’ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, লকডাউন সংক্রান্ত চিঠিটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। মূলত ওই বাড়ি এবং আশপাশের এলাকার লোকজনকে ঘরের বাইরে বের হওয়ার না জন্য এবং করোনা সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, সাদুল্লাপুরে লকডাউন করা হয়নি। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। চিঠিটা আমি দেখেছি। চিঠি যিনি ইসু করেছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাদুল্লাপুরে কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।
তিনি বলেন, একটি বিয়ে বাড়িতে বিদেশি আত্মীয় যাওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুইজন অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। সেজন্য শুধু ওই বাড়িটি কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা ওই দুইজনকে পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।