করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের একজন এস্টোরিয়া ও আরেকজন কুইন্সের উডসাইডের বাসিন্দা। তাদের দু’জনেরই বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। তারা হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
তাদের একজনের পরিচিত এক ব্যক্তি জানান, তার পরিবার বাইরের কাইকে জানাতে চান না তিনি করোনায় মারা গেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তার স্বাভাবিক জানাজা সম্পন্ন হবে না।
এছাড়া ভার্জিনিয়া স্টেটেও এক বাংলাদেশী নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তবে, তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এলমহার্স্ট হাসপাতালে আরো চার বাংলাদেশি ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
করোনাভাইরাস এখন নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেক বাংলাদেশীর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর লোকমুখে শোনা গেলেও ঠিক কতজন বাংলাদেশী আক্রান্ত হয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ, যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের পরিবার বিষয়টি লুকিয়ে রাখতে চাইছেন। আশপাশের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কোনো কোনো ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যাচ্ছে।
নিউইয়র্কের একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে ২১ জন বাংলাদেশী প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সংকটময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, এমনটি বলছেন কমিউনিটি নেতারা।
নিউইয়র্ক সক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. লিনিয়া আহমেদ কিকি বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটি ও আমেরিকান কমিউনিটি নিয়েই আমরা বেশ সচেতন। এ রোগ প্রতিহত করতে আমাদের মূল লক্ষ্যেই হচ্ছে একজন থেকে যেন অন্যজনে না ছড়ায়।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় শুক্রবার নিউইয়র্ক, কানেকটিকাট ও ইলিনয়ে বসবাসকারী সবাইকে বাধ্যতামূলক বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নররা।