ব্রাহ্মণবাড়িয়া: হোম কোয়ারান্টাইন আদেশ না মানা এক প্রবাসীকে সাথে নিয়েই অন্য প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে পরে ওই ব্যক্তিকেও জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আখাউড়া পৌর শহরের দুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও তাহমিনা আক্তার রেইনা দুর্গাপুরের বাহরাইন প্রবাসী রাসেল মিয়াকে (৩৪) হোম কোয়ারেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় ইউএনও’র সাথে ছিলেন সদ্য লন্ডন থেকে আগত স্থানীয় জাহনারা হক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো: শাহজাহান। তিনি স্বস্ত্রীক ৮ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন। হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নিয়ম না মেনেই চলছেন তিনি। বৃহস্পতিবারও ইউএনও প্রবাসীদের খোঁজ-খবর নিতে বের হলে অধ্যক্ষ শাহজাহান তার সঙ্গী হন।
এ ব্যাপারে ইউএনও তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, বিষয়টি আমার আগে জানা ছিল না। পরে যখন জানতে পারি তখন তাকেও সন্ধ্যার দিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯ সহ¯্রাধিক প্রবাসীর খোঁজে তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেইল পাওয়ার পরই টনক নড়ে তাদের। ২৪ ঘন্টায় কোয়ারান্টাইনে নেয়া হয় ২৮ জনকে। জরিমানা করা হয় তিনজনকে। জেলা পুলিশ নেমেছে প্রচার-প্রচারণায়।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯২০৮ জন প্রবাসীর দেশে ফেরার তথ্য দিয়ে একটি মেইল পাঠানো হয় জেলা পুলিশের কাছে। ওইদিন এই প্রবাসীদের মধ্যে হোম কোয়ারান্টাইনে ছিলেন মাত্র ১৪ জন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেইল পাওয়ার পর ঘুম ভাঙে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের। তার আগে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফিরে আসার খবর জানা ছিল না কারো।
জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রবাসী ৩০২৪ জন ফিরেছেন সদর উপজেলায়। কিন্তু এই প্রবাসীদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একেবারেই অন্ধকারে প্রশাসন। তবে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে দুইজন ওমান থেকে আগত জেলা শহরের পাইকপাড়ার শম্ভু সাহাকে ২০ হাজার এবং সিঙ্গাপুর ফেরত দীপ্ত সাহাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে বুধবার বাঞ্ছারামপুর ও আখাউড়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুই প্রবাসীকে জরিমানা করা হয় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার আদেশ না মানায়।
দেখুন: