বাংলাদেশে আধুনিক সাংবাদিকতার রূপকার, দেশে ট্যাবলয়েড সংবাদপত্রের জনক, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী,রিপোর্টার আল আমিন ও অন্য ৩০ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সোমবার সকাল ১১টায় ক্লাব প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচীতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারন মানুষও যোগ দেন। এতে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধার, বাংলাট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনকারী কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমাকে চাকুরিচ্যুত করাসহ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা ও মোহাম্মদ আরজু,সাবেক সাধারন সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান ও আ ফ ম কাউসার এমরান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম,সাধারন সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি,ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য্য,সমকালের ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ ষ্টাফ রিপোর্টার আবদূন নূর,সাপ্তাহিক গতিপথ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি বাহারুল ইসলাম মোল্লা,দৈনিক দেশ রূপান্তরে মনির হোসেন,সরাইল প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল,আশুগঞ্জ প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক আল মামুন,আখাউড়া প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক আবদুল হান্নান প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে মতিউর রহমান চৌধুরীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করার মামলা প্রত্যাহার এবং সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে খুজে বের করার দাবী জানিয়ে বলেন তা না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ লাগাতার কর্মসূচী দিয়ে মাঠে অবস্থান করবে। কুড়িগ্রামের সাংবাদিক রিগানের ওপর অমানবিক নির্যাতনে জড়িত জেলা প্রশাসক সুলতানা কামাল এবং দুই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে চাকুরীচুৎত করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী জানানো হয়। পরে শহরের হাসপাতাল রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাংবাদিকরা।