করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় সারা দেশে ২ হাজার ৩১৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে।
নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগে ২ হাজার ৩১৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪ জন। আর আইসোলেশনে আছেন ১০ জন।
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। তাঁরা দুজনই প্রবাসী। সম্প্রতি তাঁদের একজন ইতালি এবং আরেকজন জার্মানি থেকে দেশে এসেছেন।
৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় আরও দুজন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করল। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ হলো। আইইডিসিআর জানিয়েছে, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া প্রথম তিনজনের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ইতালি থেকে আজ সকালে আরও ১৫২ জন বাংলাদেশি ঢাকায় এসেছেন। তাঁদের সবাইকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আশকোনার হজ ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ উল আহসান এই তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার ইতালির রোম থেকে ১৪২ জন বাংলাদেশি ঢাকায় আসেন। পরে তাঁদের আশকোনায় হজ ক্যাম্পে রাখা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ গত রাতে সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের বাকি দেশগুলোর সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ওই সব দেশের কোনো উড়োজাহাজ বাংলাদেশে আসবে না। ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আসা ফ্লাইট বন্ধের নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
কোভিড-১৯ রোগকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণার পর গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউরোপকে সংক্রমণের নতুন কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করে। বর্তমানে চীনে আক্রান্ত ও মৃত্যু কমে এলেও ইউরোপে বাড়ছে। চীনের পর এখন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৩৫টি দেশ-অঞ্চলে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫ হাজার ৩৯৩ জন।