করোনা আতঙ্কে ইউরোপের সব দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পর এবার পুরো যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে কমপক্ষে ৫০০০ মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে এক লাখ ৩৮ হাজার। এর প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের এই ঘোষণা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারি সহায়তার পথ খুলে দেবে। হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। আগামী আট সপ্তাহ হতে পারে আরো সঙ্কটময়। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা ব্যবহার করে আমি পুরো যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে সারাবিশ্বে নিত্যদিনের জীবনে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। প্রথমে এই ভাইরাস চীনে সংক্রমিত হওয়ার ফলে তা এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের এপিসেন্টার হিসেবে ইউরোপকে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খেলাধুলা বিষয়ক ক্যালেন্ডার উল্টেপাল্টে যাচ্ছে। মানুষের সামনে আসছে কঠোর থেকে কঠোরতর বিধিনিষেধ। গত বছর ১৫ই মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে গুলি করে কমপক্ষে ৫১ জন মুসলিমকে হত্যা করে সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টেরেন্ট। রোববার এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক গণপ্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে করোনা আতঙ্কে তা বাতিল করেছে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডেনের সরকার। তবে করোনা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ধীরগতিতে অগ্রসর হয়েছেন বলে তার সমালোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ ইউরোপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার দু’দিন পরে তিনি দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন।