স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ঢাকা: ইজতেমায় চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়টিকে সরকারের কোর্টে দিয়েছে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকদের একজন সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ার বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত এখন সরকারই দিতে পারে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন অবরুদ্ধ, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ বহু নেতাকর্মী কারাবন্দী তাদের মুক্ত করে সমাবেশের অনুমতি দিলেই অবরোধ প্রত্যাহার হতে পারে। এটি করতে সরকারের একটি ঘোষণামাত্র। কিন্তু মুখোসধারী ইজতেমার আয়োজকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য বিএনপির কাছে আহ্বান জানাতে হবে না। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা রাসুল (সা.), হজ্জ নিয়ে কটূক্তি করে না। সংবিধান থেকে আল্লাহর নাম মুছে ফেলে না। কুকুরের মাথায় টুপি পরায়না। যারা এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে সেই আওয়ামী লীগ ও তাদের সরকারকেই বলুন এখনই ২০ দলের কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। গত কাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফসহ তাদের দলের কেন্দ্রীয় ও টঙ্গি আওয়ামী লীগ নেতারা চলমান অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।সরকারের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তার কার্যালয়ে বন্দি করে বাইরে তালা আর পুলিশ দিয়ে রেখে কর্মসূচি প্রত্যাহার চাইলে সেটা পূরণ হবে এমনটি যারা ভাবেন এটাই জাতির জন্য বড় দুর্ভাগ্য। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের স্পন্দন বেগম খালেদা জিয়া। আন্দোলন এখন কর্মীদের হাতে। নেতারা চাইলেই তা প্রত্যাহার করতে পারবেন না। আর কেউ এ নিয়ে এগিয়ে গেলেও সাধারণ মানুষের হাতেই নিগৃহীত হবার শঙ্কা রয়েছে।৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন ঘিরেই ২০ দলীয় জোটের প্রধান নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গত ৪ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত গুলশানে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কর্মসূচির দিন থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাবন্দী করা হয়েছে। সারাদেশে দলের লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও বাসা বাড়ীতে তল্লাশি চালিয়েছে। এরই প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারিতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ঘোষণা করেছেন জোট নেত্রী।