৪ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে শাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা

Slider শিক্ষা সিলেট


সিলেট প্রতিনিধি :: বুধবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টা থেকেই ৪ দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বর্তমান ছাত্র উপদেষ্টা মুহাম্মদ ওমর ফারুকের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে পরবর্তী ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ব্যাচের কোনো প্রকার একাডেমিক কর্মকান্ডের (ক্লাস নেয়া, পরীক্ষা, ল্যাব, ভাইভা অথবা প্রথম বা দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে খাতা দেখা) সাথে বর্তমান বিভাগীয় প্রধান শামছুন নাহার বেগম ও মুহাম্মদ ওমর ফারুক সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবেন না, বিভাগীয় প্রধানকে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য ছাত্রদের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। এই ৪ দফা দাবিতে শাবি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ভবন ‘এ’ এর সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিন বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। ২ মার্চ আমাদের দাবি পেশ করেছি। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা না দিয়ে উল্টো গত ৪ মার্চ কোন কারণ ছাড়া ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা গত ৭ দিন থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছি। তবে কোন শিক্ষক আলোচনা মাধ্যমে এ বিষয় সমাধান করার জন্য আসেনি।’

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিভাগে তো এমন কোন জরুরী অবস্থা জারি করা হয় নি তবে কেন ক্লাস পরীক্ষা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করা হলো। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার বিভাগের স্টেক হোল্ডার আমরাও। তবে কেন আমাদের সম্পূর্ণভাবে অন্ধকারে রেখে এ সিদ্ধান্ত। আমরা বারবার আলোচনার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তবে শিক্ষকরা ক্লাস পরীক্ষা না নেওয়ার ব্যাপারে অটল। ‘পরের মাস থেকে আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। এ সময় ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আমাদের শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।’ তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগের রজতজয়ন্তী উৎসব পালনকালে বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে একাডেমিক ফলাফল নিয়ে হুমকি দেন ‘এমসি কলেজ’র এক শিক্ষক। এ সময় বিভাগের ছাত্রউপদেষ্টা ও বিভাগীয়প্রধান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে বহিরাগত শিক্ষককে বাধা প্রদান না করে দাঁড়িয়ে থাকেন বিভাগের শিক্ষকরা।

এতে গত ২ মার্চ শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে ঘটনার জবাবদিহিতা ও বিভাগের ছাত্রউপদেষ্টার পদত্যাগসহ চার দফা দাবি পেশ করেন। দাবি জানানোর পরের দিন ভিকটিম ছাত্রসহ আরও কিছু শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় প্রধানের রুমে ডাকা হয়। তখন বিভাগীয় প্রধানের রুমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বাগ্বিতন্ডা হয় । এর প্রেক্ষিতে ৪ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে নোটিস বোর্ডে বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয় বিভাগের প্রধান।

এ বিষয়ে বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগমের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি কল ধরেন নি।

এ বিষয়ে স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আমার কথা হয়েছে। তার যে দাবিগুলোর কথা আমাকে বলেছে সেগুলো আমি বিভাগের শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। সবাই যদি চায় এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তাহলে সেটা এখন সম্ভব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *