ঢাকা: কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেছে তার পরিবার। ৪০১ ধারা অনুযায়ী মানবিক বিবেচনায় সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়ার সামায়িক মুক্তি চেয়ে আবেদনটি করেছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দর।
আবেদনা বলা হয়েছে, মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যাবেন খালেদা জিয়া। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, ৩-৪ দিন আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদন পেয়েছেন। প্যারোল নয়, বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনের সাময়িক মুক্তি চেয়েছে তার পরিবার। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে আবেদনের বিষয়ে শামীম ইস্কান্দরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে খালেদা জিয়া। দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে তখন থেকে তিনি জেলে রয়েছেন। স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে দুই দফা জামিন আবেদন করা হলেও, উচ্চ আদালতে নাকচ হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর জানিয়ে তার বোন সেলিমা ইসলাম একাধিকবার বিশেষ আবেদন করার কথা বলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই পথে গেলো বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার।
আবদনে কী লেখা আছে তা জানেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও, হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি প্যারোলে মুক্তির আশ্বাস দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বিএনপি কি করবে- এ প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেছেন, অতীতে তিনি বহুবার বলেছেন, প্যারোলে মুক্তির আবেদন করা হবে কি না তা খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিষয়, তার পরিবারের বিষয়। এ ক্ষেত্রে বিএনপি নেতাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার সাময়িক মুক্তি চেয়ে যে আবেদন করেছে, তা গ্রহণ করতে বিএনপি সরকারের কাছে আহ্বান জানাবে কি না- এ প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেছেন, পরিবার আবেদন জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।