ঢাকা: ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার প্রভাবশালী ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের জামিন আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ রোববার প্রথমে অস্ত্র মামলায় তার জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট। পরে মাদক মামলাতেও তার জামিন বাতিল করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের বেঞ্চ অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমের জামিন বাতিল করেন। আর মাদক মামলার জামিন প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আজ সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়। পরে জামিনের আদেশটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের বেঞ্চের কার্যতালিকায় রাখা হয়।
এর আগে অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় গত ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান জিকে শামীম।
গতকাল বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিষয়টি তারা জানেন না বলে জানান।
উল্লেখ্য, জি কে শামীমকে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের বাসা থেকে গত বছর ২০শে সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে র্যাব। যুবলীগ নেতা পরিচয়ে গণপূর্তের টেন্ডারের ওপর তার একক নিয়ন্ত্রণ ছিল। সরকারি শ’ শ’ কোটি টাকার কাজ পায় তার প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্স। র্যাব অভিযানে তার কাছ থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব। জিকে শামীমের বিরুদ্ধে গত ২১শে অক্টোবর মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। অস্ত্র মামলায় এরই মধ্যে বিচার শুরু হয়েছে। অস্ত্র মামলার চার্জশিটে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।