ঢাকা: রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান—এ তিন পার্বত্য জেলায় অন্তত পাঁচ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি হিসেবে পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম আবাদ করলে বছরে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আয় করা সম্ভব, বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি পাহাড়ি জমিতে আবাদ করা যেতে পারে কফিও। আগামীতে এ দুটি ফসল হতে পারে দেশের অন্যতম রফতানি পণ্য।
তরুণ উদ্যোক্তা শাকিল আহমেদ তানভীর চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ডেইলপাড়ায় ২০১৫ সালে দেশের প্রথম কাজুবাদামের কারখানা গ্রিনগ্রেইন ক্যাশিউ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলেছেন। সঙ্গে ছিলেন সহ-উদ্যোক্তা ইকরাম মোরশেদ। শুরুতে মাত্র ১০ জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন তারা। এখন কারখানায় কাজ করছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে ৫৫ জনই নারী কর্মী। উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে এ সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিন এ কারখানা থেকে দেশের অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁয় যাচ্ছে প্রক্রিয়াজাত কাজুবাদাম। প্রতিষ্ঠানটি মধ্যপ্রাচ্যের বাজারেও কাজুবাদাম রফতানি করছে। সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে সাড়ে ৩ হাজার কেজি কাজুবাদাম রফতানি করেছেন বলে জানান শাকিল আহমেদ তানভীর। রফতানি হওয়া এসব কাজুবাদামের বাজারমূল্য ২৩ হাজার ডলারের বেশি। দেশে কাজুবাদাম আমদানি হয় ভিয়েতনাম থেকে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত বছর ৫ লাখ ৮০ হাজার কেজি কাজুবাদাম আমদানি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৭০ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাপী কাজুবাদামের ৯৯৪ কোটি ডলারের বাজার রয়েছে।
সূত্র: রেবেল মনোয়ারের ফেইসবুক একাউন্ট