বাংলাদেশি যারা বিদেশে চাকরি করেন, নেহাত জরুরি না হলে তাদেরকে এখন দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় বাংলাদেশে কোন করোনা রোগী পাওয়া গেলে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান তিনি। আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
করোনা ঠেকাতে ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান থেকে আগত যাত্রীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না আমাদের দেশ করোনায় আক্রান্ত হোক। নিশ্চয়ই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও চান না তাদের মাধ্যমে দেশের মানুষ কিংবা পরিবারের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হোন। দেশ ও পরিবারের স্বার্থেই এখন বিদেশে গমনাগমন বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন করোনা রোগী পাওয়া গেলেও আতংকিত হওয়ার কিছু থাকবে না। দেশের সব জেলায় সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আলাদা আইসোলেটেড ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। করোনা সনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত কীটস রাখা আছে। এর পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ১০ সদস্য বিশিষ্ট আলাদা আলাদা ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি আমার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) সভাপতিত্বে ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মূখ্য সচিব অন্যান্য সিনিয়র সচিবসহ বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, এডিবি, ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউএসএইড এর প্রতিনিধিবর্গদের সমন্বয়ে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরুতে যা যা অবহেলা করেছিল আমরা তা করিনি। সবদিক দিয়েই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সুতরাং দেশে কোন কারনে করোনা ভাইরাস চলে এলেও তা বড় কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
করোনা ভাইরাসের জন্য মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী ১০০ বছরে একবার আমরা পাবো। যেহেতু দেশে এখন পর্যন্ত একজনও করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি, কাজেই করোনা ভাইরাসের কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালনের কোন অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।