এ ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক সাইফুল শিকদারসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জাহাঙ্গীর, রাজমিস্ত্রি সাহাবুদ্দিন, দোকানের কর্মচারী মাসুদুর রহমান ও সোনালী ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্য কামাল হোসেন। তাঁদের নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রুবেল সেনবাগ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তোফায়েল আহমেদের ছেলে। তিনি চৌমুহনী বড়পুলের কাছে একটি কনফেকশনারির দোকানের মালিক। মহসিন চৌমুহনীর হাজীপুর এলাকার খোরশেদ বাবুর্চির ছেলে।
নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে এ দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গুলিতে তাঁদের মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ধ্যার পর রুবেলকে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, মহসিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চৌমুহনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।