ঢাকা: মুজিববর্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন ভারতের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি। আগামী ২২ ও ২৩ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ সংসদের বিশেষ ওই অধিবেশন আহ্বান করেছেন। এতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ পার্লামেন্টের দুই সদস্য- রুশনারা আলী এবং বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ রেহানা তনয়া টিউলিপ সিদ্দিকীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে তারা ওই সময়ে ঢাকা আসতে পারছেন কি-না? এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্র মতে, বিশেষ ওই অধিবেশনে নেপালের একজন সংসদ সদস্যকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কাঠমাণ্ডুস্থ বাংলাদেশ মিশন ওই সদস্যের আমন্ত্রণ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তার নাম প্রকাশ করতে রাজী হয়নি। সূত্র মতে, সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনেই ভারতের একমাত্র বাঙ্গালি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের ‘পরম বন্ধু’ প্রণব মূখার্জি বক্তৃতা করবেন।
সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে টেলিফোন আলাপে তিনি বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোচনায় অনুষ্ঠেয় সংসদ অধিবেশনে বক্তৃতা করতে সম্মতি দিয়েছেন। আগামী ২রা মার্চ স্পিকার দিল্লি যাচ্ছেন। ভারতীয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষের স্পিকারদ্বয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও সফরকালে প্রণব মূখার্জির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে তার। সেই সময়ে ঢাকা সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, মুজিববর্ষের বছরব্যাপী আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, ১৭ই মার্চে। রাষ্ট্রীয় ওই আয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভূটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক উপস্থিত থাকছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জন্মশতবার্ষিকীর বছরব্যাপী আয়োজনে ভারতসহ কাছের এবং দূরের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। তারা সরকার নির্ধারিত কর্মসূচির বিভিন্ন সেশনে অংশ নেবেন। সেই ধারাবাহিতকায় ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস-এর প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধিকে। ঐতিহাসিক ২৬ শে মার্চের রাষ্ট্রীয় আয়োজনগুলো মুজিববর্ষকে বিবেচনায় রেখে সাজানো হচ্ছে। সোনিয়া গান্ধি প্যারেড স্কোয়ারের রাষ্ট্রীয় আয়োজনে অংশ নেয়া ছাড়াও ‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেব গৌড়া, এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সিতারাম ইয়েচুরি ছাড়াও বাংলাদেশ সীমান্ত লাঘোয়া ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মিজোরাম, সিকিমসহ ভারতের রাজ্যগুলোর মূখ্যমন্ত্রীদের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে বিশেষভাবে আমমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রধান জেপি নাড্ডাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তবে তিনি আসতে পারছেন না জানিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেগুনবাগিচা জানিয়েছে, বিদেশি অতিথিরা বছরব্যাপী ঢাকার অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেবেন।