খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি রোববার

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা বাংলার আদালত


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানির এদিন নির্ধারণ করেন। এর আগে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। জামিন পেলে চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে যেতে চান বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আখতারুজ্জামান, সগীর হোসেন লিয়ন, গোলাম আক্তার জাকির প্রমুখ।

আইনজীবীরা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ। এখন হাত নাড়াতেও পারেন না তিনি। নিয়ন্ত্রণে নেই ডায়াবেটিসও। এমন অবস্থায় বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা উল্লেখ করা হয় জামিন আবেদনে।

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন খারিজ করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। আপিল বিভাগের আদেশের পর ওইদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা পরবর্তিতে নতুন করে জামিন আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।

গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করে দুদক।

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য আরো একটি মামলায় জামিন নেয়ার প্রয়োজন হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এটি হল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে। এই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের করা আপিলে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। যা আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *