গাজীপুরে পুলিশি হেফাজতে নারীর মুত্যু

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয়


গাজীপুর: আটকের তিন ঘন্টার মধ্যে পুলিশি হেফাজতে ইয়াসমনি বেগম(৪০) নামে এক নারীর মুত্যু হয়েছে।

গতকাল রাতে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামীর নাম আ: হাই। তিনি গাজীপুর মহানগরের ২৩ নং ওয়র্ডের ভাওয়াল গাজীপুর গ্রামে থাকতেন। গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলায়।

নিহতের ভগ্নিপতি মামুন সাংবাদিকদের জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপুলিশের ডিবির টিম তার স্ত্রীর বড় বোন ইয়াসমিনকে কোন অভিযোগ ছাড়াই আটক করে। অত:পর রাত ৮ টার দিকে ডিবির পক্ষ থেকে তাদের ফোন করে ডিবিতে আসতে বলা হয়। রাত ৯ টার দিকে তারা ডিবিতে গিয়ে জানতে পারেন, ইয়াসমিন হাসপাতালে। এরপর তারা শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখেন ইয়াসমিন জরুরী বিভাগে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

মামুন সহ হাসপাতাল মর্গে উপস্থিত ইয়াসমিনের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ নির্যাতন করে ইয়াসমিনকে মেরে ফেলেছে।

মর্গের সামনে উপস্থিত স্থানীয় কাউন্সিলর মাওলানা মঞ্জুর হোসেন মািডিয়াকে বলেন, পুলিশ গ্রেফতারের পরে ইয়াসমিন মারা গেছে। তবে মারা যাওয়ার কারন তিনি জানেন না।

হাসপাতাল মর্গের সামনে কর্তব্যরত পুলিশ জানায়, ১০০ পিস ইয়াবা সহ ইয়াসমিনকে আটক করা হয়। তবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মুত্য হয়েছে। আটকের পর তাকে কোনরুপ নির্যাতন করা হয়নি বলে পুলিশের দাবী।

এদিকে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে জনৈক এস আই নূরমোহাম্মদ ইয়াসমিনকে হাসপাতালে আনে। জরুরী বিভাগের সিনিয়র ব্রাদার মন্ডল জানান, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

এদিকে মর্গে নিহতের ছবি তোলতে গিয়ে পুলিশের বাঁধার মুখ পড়ে কতিপয় গণমাধ্যম কর্মী। এই নিয়ে পুলিশের সাথে ঝগড়াও হয় ওই সাংবাদিকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *