নিজস্ব প্রতিবেদক : টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এই মাসের ৯ তারিখ শুরু হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক উত্তেজনায় শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা পালিত হবে কি না এটা এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।
৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমা প্রতি বছরের মতো এবারো ২ পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। এ মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ১৬, ১৭ ও ১৮ তারিখে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছে বিশ্ব ইজতেমা। ৫ জানুয়ারির বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়ায় অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ। বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ, ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে না দেয়া এবং অস্থিতিশীলতা রোধে প্রশাসনের অটল ভূমিকা, সব মিলিয়ে দেশে বিরাজ করছে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি।
৫ জানুয়ারি বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই আতঙ্কিত দেশের মানুষ।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে টঙ্গীতে আসা শুরু করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। তবে অবরোধ কর্মসূচি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে ইজতেমায় আগত দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা।
এ পরিস্থিতিতে দেশের মুসল্লিরা আসা করবে রাজনীতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণ পালনের স্বার্থে এ কর্মসূচি তুলে নেবে।