মেয়েকে প্রাইভেট টিউটরের কাছে দিয়ে রাজবাড়ি মাঠে একটু হাঁটতে বেড়িয়েছিলাম। মাঠে পাঁচ চক্কর হাঁটার পর একটা ফুচকার দোকানে চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এক বৃদ্ধ লোক কাছে এসে চা খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। ফুটপাত বা বাইরে খুব কমই চা খাওয়া হয় কিন্তু উঁনার আকুতি দেখে না করতে পারলাম না।
রংপুরের গঙ্গাচড়া থানার বাসিন্দা থাকেন শহরের বরুদায়। তিন ছেলে আর তিন মেয়ের মধ্যে ছেলে তিনজনই প্রয়াত।তিন মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই স্বামীর বাড়ি। স্ত্রী থাকেন গঙ্গাচড়ায়। ৭৪ বয়সী এই মানুষটি স্ত্রী সহ নিজের জীবনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন খুব কষ্টে।
আমাদের চারপাশে এমন অসংখ্য নূরুল হক এভাবেই চলছেন। অপ্রত্যাশীত একটা প্রশ্ন করেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন? উঁনার চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো। বললেন,উঁনার ১৬জন বন্ধু মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। উঁনার মামার কারণে নিজের ইচ্ছেটা পূরণ হয়নি।
মামা বলেছিলেন,গরিবের দেশের যুদ্ধের চেয়েও পেটের যুদ্ধ বড়।