ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বিদেশী এক শিক্ষার্থী জেদ্দার একটি হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাকে সন্দেহজনকভাবে হাসপাতালে নিয়ে কুয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল। শনিবার সকালে তার মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট হাতে আসার আগেই আত্মহত্যা করেন তিনি। ওই শিক্ষার্থী কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায় নি। এ খবর দিয়ে অনলাইন আরব নিউজ বলছে, বিদেশী ওই শিক্ষার্থী সৌদি আরবে বাদশা আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল জেদ্দায় বাদশাহ ফাহাদ হাসপাতালে। সেখানেই ঘটে এই ঘটনা। জেদ্দার স্বাস্থ্য বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, শুক্রবার সৌদি আরবের রেডক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীকে এই হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
তাকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। ভর্তির সময় তার শ্বাসপ্রশ্বাস দেখে, লক্ষণ দেখে সন্দেহ হয় তিনি শ্বাসযন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
তাকে নিয়ম মেনে এবং সব রকম পূর্ব সতর্কতা মেনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ল্যাবরেটরিতে তার বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসা পর্যন্ত কুয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়। শনিবার সকালে তার সব রিপোর্ট করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসে। কিন্তু তার আগেই তিনি হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্যগত কারণে তাকে পুরোপুরি একটি বন্ধ, নিঃসঙ্গ কক্ষে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি জানালার নিরপত্তামূলক বাটন খুলে ফেলেন এবং রাত ১২টা ২৪ মিনিটে লাফিয়ে পড়েন। রাত ৩টা ৩০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি আট মাস আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তিনি কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছিলেন। তবে বিবৃতিতে তার নাগরিকত্ব প্রকাশ করা হয় নি। আল এরাবিয়া এবং সাবক ডট অর্গ অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ওই শিক্ষার্থী একজন চীনা নাগরিক। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।