ঢাকা: পবিত্র মক্কা নগরীর আশপাশে অবৈধ ও কর্মহীন অবস্থায় থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরানোর বিষয়টি ঢাকার বৈঠকে তুলেছেন সফররত রিয়াদের শ্রম ও সমাজ উন্নয়নবিষয়ক উপমন্ত্রী মাহির আবদুর রহমান গাসিন। আগারগাঁস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ- ইআরডিতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক শেষে সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতা গাসিন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা সেখানে গিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। আমরা নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে তাদের (রোহিঙ্গাদের)অপরাধ প্রবণতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদও স্বীকার করেন- রোহিঙ্গাদের বিষয়টি সৌদি আরব তুলেছিল। বাংলাদেশ তাদের কথাগুলো শুনেছে এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ও প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে বৈঠক সূত্র বলছে, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয় আলোচনার এজেন্ডায় ছিল না। সৌদি আচমকা বিষয়টি আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসে।
তারা অবৈধ ওই সব রোহিঙ্গাদের ফেরাতে এ সংক্রান্ত সৌদি সরকারের বিশেষ কমিটিকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধও জানায়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার যৌথ কমিশনের দু’দিনের বৈঠক শেষ হয়। উল্লেখ্য, সৌদি সরকার বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে কয়েক বছর ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি হয়েছে। সর্বশেষ চিঠির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একটি তালিকাও ঢাকাকে শেয়ার করেছে রিয়াদ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকার বৈঠকে এজেন্ডাহীন রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ উত্থাপনকে তাতপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। যদি এ সংক্রান্ত রিপোর্ট মানবজমিনসহ ঢাকার সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশের পর একাধিক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তা নাকচ করেন। সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশ থেকে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ফেরেননি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব যাওয়া বা ফেরার বিষয়টি আমাদের জানা নেই।