গাড়িটি আজহারীর নয়’

Slider জাতীয় টপ নিউজ


ডেস্ক: গাড়িটি বেন্টলি ব্র্যান্ডের। দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা। বিলাসবহুল এ গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে সময়ের জনপ্রিয় ওয়াজিয়ান মিজানুর রহমান আজহারী। গত দু’দিন ধরে এমন কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের মাহফিল বন্ধ করে সদ্য মালয়েশিয়া পাড়ি জমানো তরুণ ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে ভার্চুয়াল যুদ্ধ।

আজহারী বিরোধীরা বলছে, ইসলামের একজন দাঈ হয়ে কিভাবে তিনি মালয়েশিয়ায় বিলাসবহুল গাড়ি কেনেন? তারা এও বলছেন, দেশে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেই মালয়েশিয়ায় চলে গেছেন আজহারী।

তবে যে গাড়ি নিয়ে এতো বিতর্ক সেই গাড়ি আজহারীর নিজের নয়। আর মালয়েশিয়াতে গিয়েও তিনি এ গাড়ি চালাননি।

ছবিগুলো সম্প্রতি তোলাও নয়। গাড়ির মালিক নাম সাহিদুজ্জামান টরিক। তিনি মিজানুর রহমান আজহারীর ঘনিষ্টজন। আজহারী যাকে বড় ভাই বলে সম্বোধন করেন।

টরিকের ঘনিষ্ট একজন জানান, সাহিদুজ্জামান টরিক সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। তার দেশের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। ছয়-সাত মাস আগে টরিকের নিমন্ত্রণে এক মাহফিলে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান মিজানুর রহমান আজহারী। সে সময় সেখানে টরিকের এই গাড়িতে চড়ে সিঙ্গাপুর ঘুরেন। তিনি নিজেও অল্প কিছু সময় গাড়ি চালান। সে সময় তোলা ছবিগুলোই আজহারী বিরোধীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে অপপ্রচারে নেমেছে।

ওই ব্যক্তি বলেন, গাড়ির নেমপ্লেট দেখলেই বোঝা যায় এটা মালয়েশিয়ার কোনো গাড়ি নয়। এখানে ঝঔত৮৮৮ওজ লেখা। আর এমন নেমপ্লেট সিঙ্গাপুরের গাড়িগুলোর হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে সাহিদুজ্জামান টরিকের বন্ধুত্ব রয়েছে। গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আজহারী যোগ দিয়েছিলেন। ওই মাদ্রাসার পরিচালকই সাহিদুজ্জামান টরিক।

সেদিন প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মাহফিলের আয়োজন করা হলেও মুসল্লিরা জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তা ও যানবাহনে দাঁড়িয়ে আজহারীর বক্তব্য শোনেন। আজহারীর বক্তব্যের সময় সাহিদুজ্জামান টরিককে তার পাশেই দেখা গেছে।

আলোচনার শুরুতে আজহারী বলেছিলেন, এ মাহফিলের আয়োজক সাহিদুজ্জামান টরিক আমার বড়ভাই। তিনি একজন শিল্পপতি ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। সিঙ্গাপুর গেলে আমি তার কাছেই থাকি। গত কোরবানি ঈদে সেখানে তার তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকটি ইসলামী প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *