শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য আমরাও শক্তিশালী বিরোধী দল চাই-এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পরাজিত হয়ে বিএনপি হতাশায় ভুগছে এবং আবোলতাবোল কথা বলছে। তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ না, জনগণকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে? শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কমিটির তালিকা দলীয় দপ্তরে ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর যেসব জেলায় যাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের এপ্রিলের মধ্যে সম্মেলন শেষ করতে বলা হয়েছে। আগামীকাল বিকাল ৪টায় ঢাকা মহানগরের নবনির্বাচিত মেয়র ও ঢাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বসা হবে বলেও জানান তিনি।
সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতা অবশ্যই আছে। এটা উত্তরণের জন্য মহানগরে ওয়ার্ড, থানায় সম্মেলন করে কমিটি করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলর ৯৮ জন, সংরক্ষিত ৩৪ জন, মোট ১৩২ জন। ১৬ জন বিদ্রোহী কাউন্সিলর বড় কোনো সংখ্যা নয়। আগামীকাল (শনিবার) খালেদা জিয়ার জেলে যাওয়ার দুই বছর পূর্ণ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে-জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রতিককালে রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা বহমান। এই মুক্তিযুদ্ধেও দেশে সাম্প্রদায়িক ধারায় ফিরিয়ে নেয়ার রাজনীতি চলবে না। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।