এশিয়াজুড়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অসাধু ‘ফেস-মাস্ক’ বিক্রেতাদের। চীন থেকে পুরো অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এর বিরুদ্ধে সুরক্ষায় বেড়েছে মুখে মাস্ক পরার চাহিদা। এই চাহিদার সুযোগ নিয়ে অসাধু উপায়ে ব্যবসায় নেমেছেন অনেকে। মজুত করে রাখছেন মাস্ক। বাজারে সংকট দেখা দিলে তা বেশি দামে বিক্রি করছেন। এমন ব্যবসায়ীদের ধরতে থাইল্যান্ড, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, সাংহাই সহ বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস।
খবরে বলা হয়, ফেস মাস্ক এবং মজুদ করে রাখা ও ক্লিনসিং জেল মজুদ বা পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
দেয়া হচ্ছে কারাদণ্ড। দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ডে বিশাল পরিমাণে ফেস মাস্ক কিনে তা মজুদ করে রাখা ও পরে বেশি দামে বেচার অপরাধে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ডের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এদিকে, চীনের সাংহাইয়ে ইতিমধ্যে ভুয়া মাস্ক ও জীবাণুনাশক বিক্রির অপরাধে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৩০ হাজার ভুয়া মাস্ক ও ১ লাখ ৩০ হাজার ভুয়া জীবাণুনাশক।
ফার্মেসিগুলোয় মাস্ক সংকট থাকায় মানুষজন অনলাইন থেকে চড়ামূল্যে মাস্ক, জীবাণুনাশক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের ঠেকাতে নতুন একটি ওয়েব পেজ ও ২১টি হটলাইন খুলেছে খাদ্য ও ওষুধ মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ৩৭০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কোথাও বেশি দামে মাস্ক বিক্রি হলে ওই হটলাইন ও ওয়েব পেজে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। এ ধরনের ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করতে গঠন করা হয়েছে ১৮০ সদস্যের একটি দল।
জাপানের ফার্মেসিগুলো জানিয়েছে, সরবরাহ আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই সব পণ্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ওসাকা-ভিত্তিক পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান শিকিবো জানিয়েছে, দুই সপ্তাহে এক বছরের সমান মাস্ক বিক্রি করেছে তারা।
থাইল্যান্ডেও অনেকটা একই ঘরানার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশি দামে জিনিস বিক্রি করলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।