ঢাকা: গত বছরে বিজিএমইএ’র আওতাধীন ৬৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে ৩২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। তবে বিকেএমইএ’র অধীনে থাকা কোন কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী। তিনি জানান, বিকেএমই’র অধীনে থাকা ২২শ’ কারখানার মধ্যে ৯২০টি সদস্যপদ নবায়ন করেছে। সদস্যপদ নবায়ন না করায় ১ হাজার ২৮০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রপ্তানি আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে কারখানাসমূহ পুনরায় সক্রিয় হতে পারবে।
মন্ত্রী আরও জানান, চাকুরি হারানো শ্রমিকগণের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচির আওতায় এই কর্মরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
এর অধীনে তৈরি পোশাক খাতে ভবিষ্যতে কাজ করবে এমন জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে পিয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্টিন টন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে পিয়াজের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৩০ লাখ মেট্টিন টন। এই পণ্যের উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সময়ে ৩০-৩৫ শতাংশ এবং আমদানিকৃত পিয়াজের মানের ভিন্নতা অনুসারে ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। খাবারে অনুপযোগী পিয়াজ বাদ দিলে নীট উৎপাদন ১৫ দশমিক ১৪ লাখ মেট্টিন টন। ফলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮-৯ লাখ মেট্টিন টন। মন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে বীজ উৎপাতিত পিয়াজ সংগ্রহের মৌসুম। মৌসুম শুরু হলে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মূল্য স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে টিপু মুন্সী বলেন, বর্তমানে ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে আরো ৬টি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির সদস্য। এছাড়া ৯টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান, ভুটান, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস, মালদ্বীপ. পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। খঃ মমতা হেলা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের ২২ শতাংশ যৌন হয়রানীর শিকার- কথাটি সঠিক নয়।