ডেস্ক: জেরুজালেমে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। এ নিয়ে দেশটি পর্যালোচনা করছে বলেও জানিয়েছে এর প্রেসিডেন্ট ইয়োরি মুসাভেনি। সোমবার তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি দূতাবাস খোলার বিষয়টি জানান। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জেরুজালেমকে নিজের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছে ইসরাইল। এর পক্ষে সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের। ইতিমধ্যে অনেক দেশ তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করেছে।
এই ধরণের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিকভাবে ইসরাইলের দাবির পক্ষে সমর্থন হিসেবে দেখা হয়। তাই জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে শহরটিকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে উগান্ডা। একে দেখা হচ্ছে, আগামি ২রা মার্চ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জন্য একটি রাজনৈতিক জয় হিসেবে।
সোমবার মুসানেভি বলেন, আমার বন্ধু যদি আমাকে বলেন যে- তিনি আমার দূতাবাস এখানে চান তাহলে আমি এটি স্থানান্তর না করার কোনো কারণ দেখি না। এরপরই তিনি জানান যে, স্থানান্তর নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। জবাবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপন করুন তাহলে আমি কামপালাতে দূতাবাস স্থাপন করছি। আশা করছি শীঘ্রই এটি বাস্তবায়িত হবে।
ফিলিস্তিন মনে করে, পূর্ব জেরুজালেম ইসরাইল কর্তৃক দখলকৃত এলাকা। ১৯৬৭ সালে আরব দেশগুলো ইসরাইল আক্রমণ করে। সেসময় বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হয় রাষ্ট্রটিকে। যুদ্ধে জয় লাভের পর জেরুজালেমের পূর্বাংশ দখল করে নেয় ইসরাইল। তবে ফিলিস্তিনিরা এখনো পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী মনে করেন। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা¤প ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এটিকে বলা হচ্ছে, ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি। এতে জেরুজালেমকে ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ শনিবার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রতিবাদস্বরূপ সব ধরনের স¤পর্ক ছিন্ন করেছে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।