আর যেন না দেখি’

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি বিচিত্র


ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণ খানের আনোয়ারা মডেল ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আলি আকবরের (টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক) এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে ফারুকুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি এই কেন্দ্রের প্রত্যেকটি বুথে গিয়ে ধানের শীষ ও টিফিন ক্যারিয়ারের এজেন্ট কে কে আছেন তাদের খুঁজে বের করেন। এরপর তাঁদের কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলেন। এ সময় তার সঙ্গে আরও চার পাঁচজনকে দেখা যায়।

এই কেন্দ্রের ধানের শীষ ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট আদিবা সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি এসে বলেন, এখনই কক্ষ থেকে চলে যেতে।’

শাকিলা আক্তার নামের আরেক এজেন্ট বলেন, ‘আমাকে এসে বলেন, ‘একদম গেট থেকে বের হয়ে যাবি, আর যেন না দেখি’।’

এই প্রতিবেদক ফারুকুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা না বলে চলে যান। পরে জানা যায় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এ কে এম মাসুদুজ্জামানের (লাটিম প্রতীক) ভাইয়ের ছেলে। ওই কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আলি আকবরের এজেন্ট আমেনা আক্তার, সামিয়া সুলতানা, নাসিমা আক্তার, মরিয়ম, শামীম আহমেদ, কহিনূর, আদিবা সুলতানা, শাকিলা আক্তারকে বের করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুজনের এজেন্ট কার্ড ছিঁড়ে ফেলা হয়।

এ ছাড়া আনোয়ারা মডেল ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের (কেন্দ্র নম্বর-১২২১) ৭ নম্বর বুথে সকাল ৯টা ১০ পর্যন্ত ইভিএমের কেবল সংযোগ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

দক্ষিণখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি কেন্দ্র আছে। একটিতে সাতটি বুথ ও আরেকটিতে ৮টি বুথ আছে। কোনো বুথেই ধানের শীষ প্রতীকের কোনো এজেন্ট দেখতে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বিএনপির কাউন্সিল প্রার্থীরও কোনো এজেন্ট ছিল না।

এ ছাড়া ১২২৭ নম্বর কেন্দ্রের ছয় নম্বর বুথের ইভিএম মেশিনের কার্যক্রম বারবার আটকে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রতিটি বুথে গড়ে ২০টি করে ভোট পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *