সাবেক তত্ত্ববাধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন আওয়ামীলীগের এক নেতা আব্দুর রহমান বলেছেন ছাত্রদের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য । কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে কেন? সে বিএনপি হোক বা আওয়ামীলীগই হোক। কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রিজাইডিং অফিসারের পক্ষ থেকে। আইন শৃংখলা বাহিনী হাজির থাকবে। কোনোো পার্টির পক্ষ থেকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে এটা ঠিক নয় । ভরসা পাচ্ছি না এবার নির্বাচন নিয়ে। সুষ্ঠূ নির্বাচন হবে কিনা । ভোট দিতে পারবে কিনা লোকজন।
এমনিতেই ইভিএম নিয়ে একটা সমস্যা আছে,বিবাদ আছে,মতবিরোধ আছে।এর সমাধান কি জানিনা। প্রার্থীরা যে আচরণবিধি লংঘন করা করেছে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন তো এ্যাকশন নেয় নাই। এজন্য খুব একটা ভরসা পাচ্ছিনা।
রাজধানীতে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন এর আগে ৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচনেও তো আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা ছিল তাতে কোনো লাভ হয়েছে ।নিজেরাই যদি ভোটা দেয় কি করা যাবে আর। এবার দুদলই প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছে এটাভালো।যদিও কিছু হামলা হয়েছে সেখানেও পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। যাক তারপরও প্রচারপ্রচারণা করতে পেরেছে এটা একটা ওয়ান প্লাস পয়েন্ট। আমাদের নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে নিয়ে আমার যে ধরনা সুষ্ঠু নির্বাচন আর কোনোদিন পাব কিনা এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে। আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে এবার হয়তো নির্বাচনাটা তারা খুব কঠোর ভাবে করবে তাদের যে ক্ষমতা এবং দায়িত্ব আছে । কিন্তু তার তো কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছিনা। আগে মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ-উদ্দিপনা ছিল ২০০৮ সালের পর থেকে তা শেষ হয়ে গেছে। মানূষ এখন ভোট দিতে চায় না ।আমার বাড়ীর পাশেই আমার ভোট কেন্দ্র আমি যদি দেখি কেন্দ্র দখল করে আছে সে আওয়ালীগ বা বিএনপি যেই হোকনা কেন আমি তো নিজেই ভোট দিতে যাবনা।