ডেস্ক:করোনাভাইরাস নিয়ে যশোরের বেনাপোল ও দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে শেরপুরের নাকগাঁওয়ের মতো অনেক সীমান্তেই এখন পর্যন্ত সতর্কতামূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের খবরে বিস্তারিত—
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি জানান, বেনাপোল স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে সতর্কাবস্থা জারি করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। সেখানে এরই মধ্যে ভারত থেকে আসা বিদেশি নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আজ সকালে চেকপোস্টে আয়ারল্যান্ডের একজন, অস্ট্রেলিয়ার চারজন, কানাডার দুইজন এবং যুক্তরাষ্ট্রের একজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. হাসানুজ্জামান।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি খোরশেদ আলম জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
হিলি সংবাদদাতা জানান, হিলি চেকপোস্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মেডিক্যাল টিম বসানো হয়েছে। তবে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীর স্ক্রিনিং করার কোনো যন্ত্র বসানো হয়নি।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, ডা. প্রতাপ নন্দী, জানান, হিলি চেকপোস্টের গুরুত্ব ভেবে দিনাজপুর সিভিল সার্জনের নির্দেশে মেডিক্যাল টিম বসানো হয়েছে। হিলি চেকপোস্টের ইমিগ্রেশনের ওসি রফিকুজ্জামান জানান, এখন পর্যন্ত চীনের কোনো নাগরিক এই সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করেনি। তারপরও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে।
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, দেশের বিভিন্ন বন্দর ও সীমান্তে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও নাকুগাঁও স্থল-শুল্কবন্দরে আজ পর্যন্ত কোনো মেডিক্যাল টিম দেখা যায়নি। বসানো হয়নি থার্মাল স্ক্যানারের মতো কোনো যন্ত্রও। নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাসুদ বলেন, ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
শেরপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সতর্কতা সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনার ব্যাপারে আমার জানা নেই।’