গাজীপুর: আহসান উল্লাহ মাষ্টার হত্যা মামলার দুই আসামীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দুই আসামীর একজনকে সম্প্রতি জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব করার পর আন্দোলন শুরু হয়।
জানা যায়,গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টঙ্গীর গোপালপুরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব নূরুল ইসলাম দিপু ও তার ভাই শহিদুল ইসলাম শিপুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তারা টঙ্গীর গোপালপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে রফু কনট্রাক্টরের ছেলে। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন শিপু। আর দিপু রয়েছেন প্রবাসে। নিজেরা না থাকলেও তাদের বাড়িতে স্বজন ও ভাড়াটিয়ারা বাস করেন।
টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, আগুনে বাড়ির দোতলার একটি ইউনিট পুড়ে গেছে। নিচ তলাসহ অন্যান্য ইউনিট ভাঙচুর করা হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে আগুন অন্যান্য ইউনিটে ছড়াতে পারেনি।
দিপুর স্ত্রী শরিফা খানম সুমি বলেন, আসরের নামাজের পর মিছিলসহ হঠাৎ ৪-৫শ’ লোক বাড়িতে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। তারা বাড়িতে প্রবেশ করে কিছু বুঝার আগেই ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, বাধা দিলে হামলাকারীরা বলতে থাকে- মাস্টারের খুনির কোনো আত্মীয়-স্বজন টঙ্গীতে থাকতে পারবে না। তাদের বাড়ির কোনও চিহ্ন থাকবে না। এ হুমকি দিয়ে তারা আমাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়ির ৩টি কক্ষ আগুনে পুড়ে যায়। অন্তত ২০টি কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ও পুলিশ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি দিপুকে জাপার যুগ্ম সম্পাদক করায় টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন গত ক’দিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছিল।
আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে বাড়ির পাশের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে ঘাতকরা। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম দীপুকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।