গাজীপুর: গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় গাজীপুর সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জয়দেবপুর পৌরসভা ব্লকের নীলের পাড়া গ্রামে স্থাপিত “নিরাপদ সবজি গ্রাম” পরিদর্শন করেন কৃষিবিদ মোঃ আলীমুজ্জামান মিয়া, পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত), ক্রপস উইং, খামারবাড়ি, ঢাকা।
ক্রপস উইংয়ের পরিচালক জানান ফসলের পোকা দমনে জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ লিউর হলুদ ফাঁদ ও জৈব বালাইনাশক। এসকল পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ হয় না। ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়। বিষ প্রয়োগ না করার কারণে পরিবেশ দূষণ হয় না। আর্থিকভাবেও কৃষক লাভবান হয়।
তিনি আরো বলেন,খাদ্যতালিকায় সবজির গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। মেধা ও বুদ্ধিবৃত্তির অধিকতর বিকাশসহ শারীরিক সক্ষমতা অর্জনের জন্য মানবদেহের অতীব প্রয়োজনীয় দু’টি খাদ্য উপাদান বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ ও ভিটামিনের সবচেয়ে সহজলভ্য উৎস হলো বিভিন্ন প্রকারের সবজি। বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সুষম খাবারের নিশ্চয়তা দিতে বিভিন্ন প্রকারের শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বছরব্যাপী নিরাপদ সবজি উৎপাদন করার মাধ্যমে সারা বছরের খাদ্যেও নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব। তাই সারা বছরের পুষ্টি নিরাপত্তায় সবজির ভূমিকা অপরিসীম।
সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবজি চাষে রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও পোকামাকড় দমনে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। তাছাড়া অতি লাভের আশায় বাজারে বিক্রির জন্য সবজি সংগ্রহ মাঠে কীটনাশক প্রয়োগ করে অল্প সময়ের মধ্যে সবজি সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়ে থাকে। সঠিক সময়ে কীটনাশক প্রয়োগ ও প্রয়োগমাত্রা সম্পর্কে ধারণা না থাকার দরুন নিরাপদ সবজি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক উপাদান মানুষের দেহে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারণ। জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিকমাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ, উপযুক্ত সময় ও নির্ধারিত মাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহার এবং সঠিক সময়ে সবজি সংগ্রহের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। তাই বছরব্যাপী নিরাপদ সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে সারা বছরের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ মাহবুব আলম, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গাজীপুর, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (পিপি),কৃষিবিদ মোঃ শাহ আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,কৃষিবিদ সাবিনা সুলতানা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বনানী কর্মকার এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহ কৃষক-কৃষাণীবৃন্দ।