ঢাকা: অবশেষে রাজধানীর হাতিরঝিলের বহুল আলোচিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ভবন ভাঙা কার্যক্রম তদারকি করছে রাজউক ও নগর বিশারদরা। যান্ত্রিক উপায়ে ভবনটি ভাঙা হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, সুন্দর ঢাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয় ভবনটি। পরিবেশের যা জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে। তাই আদালতের নির্দেশে ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। র্যাংগস ভবনের মত কোন ঘটনা ঘটবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী আরও জানান, আগামী ৬ মাসের মধ্যে পুরনো বিজিএমইএ ভবন অপসারণ শেষ করা হবে। পর্যায়ক্রমে হাতিরঝিলের সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।
এর আগে পানিপ্রবাহ রোধ করে গড়ে ওঠা এ ভবনকে হাতিরঝিল প্রকল্পের ‘বিষফোঁড়া’ হিসেবে আখ্যায়িত করে হাইকোর্ট। ২০১১ সালে এক রায়ে এটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে। এরপর ভবন ভাঙতে কয়েক দফা সময় নিয়ে প্রায় সাত বছর পার করে বিজিএমইএ। সবশেষ আদালতের দেয়া সাত মাস সময়সীমা গত বছর ১২ই এপ্রিল শেষ হয়। এরপর ১৫ই এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনের মালামাল সরিয়ে নিতে এক দিন সময় বেঁধে দেয় রাজউক। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের মালামাল সরিয়ে নিলে বিজিএমএইএ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় রাজউক।